প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ, শিব মূর্তিটি বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: পুলিশ
বুম অর্জুনি মোরগাঁও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জেনেছে, এর পিছনে কোনও সাম্প্রদায়িক ব্যাপার নেই।
প্রতাপগড় পাহাড়ের মাথায় স্থাপিত ১৫ ফুট উঁচু শিব মূর্তিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঝড়বৃষ্টির সময় বাজ পড়ে। মহারাষ্ট্রের গোন্ডিয়া জেলার স্থানীয় পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এই তথ্যই উঠে এসেছে বলে বুমকে জানানো হয়েছে।
মূর্তিটি মুসলিমদের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এই মর্মে সোশাল মিডিয়ায় গুজব ভাইরাল হওয়ার পর বুম স্থানীয় অর্জুনি মোরগাঁও থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ কথা জানতে পারে।
স্থানীয় পুলিশ ঘটনাটির সঙ্গে কোনও সাম্প্রদায়িক হামলার সংযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।
স্থানীয় পুলিশ অফিসার বুমকে জানিয়েছেন, “জুলাই মাসের ২৪-২৫ তারিখের রাতে বজ্রবিদ্যুত্ সহ ভীষণ ঝড়বৃষ্টি হয়। তখনই বাজ পড়ে মূর্তিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।”
তিনি আরও জানান, “ভাঙা মূর্তির টুকরোর নমুনা নাগপুরে পরীক্ষণাগারে পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায়, ৭-৮ দিনের মধ্যেই তার ফলাফল জানা যাবে।”
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, শিবের একটি বিশাল নীল মূর্তি মাথা থেকে কোমর পর্যন্ত পুড়ে গেছে। একটি সংবাদ প্রতিবেদন জানাচ্ছে, প্রতাপগড় পাহাড়ের মাথায় বসানো ১৫ ফিট উঁচু মূর্তিটি প্লাস্টার অফ প্যারিস এবং ফাইবার-গ্লাস দিয়ে তৈরি।
ক্ষতিগ্রস্ত মূর্তিটির ছবি ফেসবুকে শেয়ার হচ্ছে এমন ক্যাপশন দিয়ে, যেন মনে হচ্ছে এটা মুসলিমদেরই একটা অপকর্ম।
পোস্টটি দেখা যাবে এখানে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
টুইটারে ভাইরাল
টুইটটি দেখা যাবে এখানে। টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
টুইটি দেখা যাবে এখানে। টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
২০১৯ সালের ২৬ জুলাই প্রেস ট্রাস্ট অফ ই্ডিয়া (পিটিআই)-এর এক প্রতিবেদনে লেখা হয়, গোন্ডিয়া জেলার অর্জুনি মোরগাঁও তহসিলে একটি সুউচ্চ শিবমূর্তি আধপোড়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধানে অনুমান, বাজ পড়েই মূর্তিটি এ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ।
অল্টনিউজ ভাইরাল হওয়া এই ছবিগুলি আগে খন্ডন করেছে।
আরও পড়ুন: হিতেশ মুলচন্দানির খুনের পিছনে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোন অস্বীকার করছে পিম্পরির পুলিশ